Site hosted by Angelfire.com: Build your free website today!
---- আমেরিকার পরিচয় চুরি! (TvNewsLIES এর আনীত অপরাধের এক নালিশ - ডিসেম্বর ২০০৫) একটা পরিচয়কে তখনি প্রশ্ন করা হয় হয় যখন তা হুমকির সম্মুখীন হয়, যেমন পরাক্রমশালীদের পতন বা দুর্বলের উত্থান যখন শুরু হয় - জেমস বল্ডউইন অপরাধ চারিদিক তাকিয়ে দেখুন। যদি ভালভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন কি একটা ব্যাপার যেন বড়ই গোলমেলে ঠেকছে। যদি সবদিকেই তাকান, সব আনাচে কানাচেই দেখেন তাহলে ভয়ঙ্কর সত্যটা আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই কয়েকবছর আগেরও সেই গৌরবময় দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর নেই। এই পাঁচ বছর আগেও আমেরিকার এক স্পষ্ট পরিচয় ছিল। মাত্র পাঁচ বছর আগেও আমেরিকার একটা সংজ্ঞাযোগ্য স্বভাব এবং বিশ্বাসযোগ্য সুনাম ছিল। মাত্র পাঁচ বছর আগেও আমেরিকান হিসেবে আমরা কারা তা জানতাম। কিন্তু সেই সময়, সেই নিরাপদ ও আরামদায়ক সময় আর নেই। ২০০৫ সাল শেষ হওয়ার এই মুহূর্তে অস্বীকার করে কোন লাভ হবে না। আমাদের ইতিহাসের এই ক্রান্তিলগ্নে দেশ ও জাতি হিসেবে আমাদের পরিচয়ের বিলুপ্তি ঘটেছে। সেটা স্বেচ্ছায় বা শান্তিপূর্ণভাবে জায়নি। বরং আমেরিকান হিসেবে আমাদের পরিচয় সুপরিকল্পিতভাবে ও চোরাগোপ্তাভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। বস্তুত আমেরিকার জনগণ সমষ্টিগতভাবে এই সময়কার এক জঘন্যতম অপরাধের শিকার হয়েছেন; সে অপরাধ হোল পরিচয় চুরি। না, আমরা কখনই সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত বা ফেরেশতার মত জাতি ছিলাম না। কিন্তু আমরা তার জন্যই চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। আমাদেরও কিছু লজ্জাকর সময় ছিল, ক্ষতিসাধনে আমাদেরও কিছু হিস্যা আছে। কিন্তু আমরা এমন এক জাতি ছিলাম যা কিনা তার মৌলিক মূল্যবোধকে কদর করত। আন্যান্য কোন ভুল ভ্রান্তি হওয়া সত্বেও আমরা জানতাম যে আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্ময়কর এক দলিল আমাদের দেশকে পথনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছিল। সব কিছুর পরে আমরা আমাদের ভুল শুধরে নিতাম ও অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতাম। কারণ সব কিছুর শেষে আমরা ছিলাম আইনের দ্বারা শাসিত এক দেশ যা দুর্দিনে ও সুদিনে যুক্তরাষ্ট্রের শাসনতন্ত্রের দ্বারা পরিচালিত হত। কিন্তু সে দিন আর নেই। এই দেশ আর সেই দেশ নয়। এই কিছুদিন আগেও আমেরিকান নাগরিক হিসেবে আমরা যে বিশেষ সম্মান ধারণ করে রেখেছিলাম তা আমদের থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। জাতি হিসেবে আমাদের পরিচয় চুরি সম্পূর্ণ ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তার উপর কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত সবচেয়ে বেদনাদায়ক ব্যাপার এই যে যারা এই চুরির জন্য দায়ী তাদেরকে আমরা খুব ভাল করেই চিনি। এই লেখার সময়টিতেও যে সকল দুষ্কৃতকারীরা আমাদের উপর অন্যায় করেছে তারা বহাল তবিয়তে হোয়াইট হাউজে কাজ করে যাচ্ছে। অপরাধীরা এই লুণ্ঠন কাজটি খুব সহজে করা যায়নি। একটা গোটা জাতিকে ছিন্তাই করতে চাই কপটতা ও বিশ্বাসঘাতকতায় অভ্যস্থ এবং সংগঠিত অপরাধ ঘটাতে সক্ষম একদল অভিজ্ঞ পেশাদার নরনারী। এদের কেউ ছিল অতীতের কোন প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত দাগী অপরাধী, আর অনেকে নতুন আমেরিকান শতাব্দির প্রকল্পের (Project for New American Century) মত চিন্তনাধার (Think Tank) থেকে আবির্ভূত। আবার কেউবা আগেকার সময়ের কোন প্রশাসনের সুপরিচিত সরকারী কর্মকর্তা। এবং এদের সবার সামনে রয়েছেন জর্জ বুশ, যাকে এরা খুব যত্নের সাথে নির্বাচিত করে সুবিধাজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত করেছে। তাদের এই তাস্কর্য সফল করতে পরিচয় তস্কর দলের সদস্যদের অনুপ্রবেশ করতে হয়েছে সরকারের প্রতিটি শাখায় ও সংস্থায়। উপরন্তু, এর সবই হাতছাড়া হত যদি না তারা দেশের গণমাধ্যম গুলোকে তাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে না আনত। একবার তা সাধিত হবার পর তাদের বাকী রইল সুবর্ণ সুযোগের অপেক্ষায় নিশ্চিন্তে বসে থাকা। এবং সেই সুযোগ আসলো ঠিকই, যখন সব কিছুই বদলে গেল ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের সকালে। প্রায় তৎক্ষণাৎ ই বাস্তবায়িত হতে শুরু করল তাদের সুরচিত পরিকল্পনা আর আর তাস্কর্যের কাজ। অল্প সময়ের ব্যবধানেই একের পর এক শুর হতে লাগল দেশপ্রেম আইন, তালেবান বিরোধী যুদ্ধ,সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ আর ইরাকের উপর আগ্রাসন । এই সবই তৈরী করা ছিল আগে ভাগেই । আর এ সবই চাপান হল শোকাহূত জাতির ওপর, যে জাতি এতই শঙ্কাগ্রস্ত আর এতই কম ওয়াকিবহাল ছিল যে বুঝতে পারেনি যে তার ভাগ্যে কি ঘটছে। এই চৌর্যবৃত্তিতে লিপ্ত অপরাধীরা সুনিশ্চিতভাবেই পেশাদার ছিল। তারা তাদের কলাকৌশল ভালই জানত আর তাদের প্রতি আমেরিকানদের সকৃতজ্ঞ আনুগত্য আনয়নে পারদর্শী ছিল। আহত জাতির দিকে ছুড়ে মারল একের পর এক রংভিত্তিক সতর্কতা আর বানোয়াট সন্ত্রাসের হুমকি। তারা তাদের সন্ত্রাসের ফাঁদ চতুরতা আর দক্ষতার সাথেই পেতেছিল। এবং এভাবেই একটা জাতিকে তারা জালে আটকাল। আর ঠিক যখন তাদের আসল কাজ করার সময় এল, তারা ভাড়া করল তাদের অনুগত এক মস্তান দল। এরা হল ডানপন্থী ধর্মান্ধরা। তাদের সাথে একজোট হয়ে এরা তৈরী করল আরও ব্যাপক এক আতঙ্কের প্যাকেজ আমেরিকানদের জন্য। নটের গুরুরা ইতমধ্যেই টিপেছে দেশের আতঙ্ক বোতামঃ আরও হামলার ভয় কর, সন্ত্রাসীদের ভয় কর, ইসলামকে ভয় কর, প্রতিবেশীকে ভয় কর, প্রতিবাদকারীকে ভয় কর, সমালোচনাকারীদের ভয় কর, উদারপন্থীদের ভয় কর, যাকে ইচ্ছা ভয় কর, ভীত থাকা চাই। এক্ষণে তারা আরও কিছু নতুন ভীতির সংজোযন করল। সমকামিদের ভয় কর, স্টেম কোষ গবেষণাকে ভয় কর,বাছনকে ভয় কর,রাষ্ট্র ও গীর্জার পৃথকীকরণকে ভয় কর, অবিশ্বাসীদের ভয় কর, যেই তোমার ইশ্বরকে বিশ্বাস করেনা তাকে ভয় কর এবং যেই তোমার রাজনৈতিক মতকে সমর্থন করেনা তাকে ভয় কর। মূল্য এই দাগী অপরাধীদের হাতে আমরা কত কিছুই না হারিয়েছি। যে সব কিছুর জন্যই আমরা আমেরিকান হিসেবে গর্ববোধ করতাম এই পরিচয় হরণ তার সবই কেড়ে নিয়েছে। সেই মুখাবয়বহীন অদৃশ্য মানুষের মতই আমাদের ভাগ্যে এখন আছে জীবনে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরপাক খাওয়া। আমরা কেবল ভাবতে থাকব আমরা কারা, আর পারব যা কিছু মর্মান্তিকভাবে হারিয়েছি তা নিয়ে অনুশোচনা করা। এই সত্যটি মেনে নিতে হবে যে মাত্র পাঁচ বছরের স্বল্প ব্যবধানেই জর্জ বুশের প্রশাসন এই দেশের চেহারা পালটে দিয়েছে। এই কেবল গতকালই যেন মনে হয় আমরা আমেরিকানরা আমাদের দেশ নিয়ে কতই না গর্ব অনুভব করতাম আর নিজেদের সততায় কতটাই না বিশ্বাসী ছিলাম। আমরা গণতন্ত্রের শক্তিতে সত্যই বিশ্বাসী ছিলাম আর আমাদের মাঝে ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের অনেক অভিন্ন লক্ষ্য ও স্বপ্ন ছিল। অন্যান্য অনেক কিছু সঙ্গে আমরা এও বিশ্বাস করতাম যে : - সঠিক পথেই ন্যায়, আর যূদ্ধ হল সর্বশেষ পদক্ষেপ। - আমাদের সরকার ছিল জনগণের জন্য ও জনগণের দ্বারা। - আমেরিকান হিসাবে আমাদের অধিকার মার্কিন শাসনতন্ত্রের দ্বারা রক্ষিত ছিল। - নির্বাচিত আধিকারিকদের প্রশ্ন করার অধিকার ও দায়িত্ব আমাদের ছিল। - সরকারী কর্মের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার আমাদের ছিল - আমদের দেশের উপর কোন আক্রমণ অনতিবিলম্বে অনুসন্ধিত হবে। - সরকারী কাজে গোপনীয়তা কেবলমাত্র নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে। - আমাদের সরকার আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোকে সবসময় সম্মান করবে। - আমরা কখনই অনাগ্রাসী কোন দেশের উপর নিবারক যুদ্ধ চালাব না। - যারা মনোনয়নকৃত যুদ্ধের বিরোধী তাদেরকে দেশদ্রোহী গণ্য করা হবে না। - আমাদের নেতারা বিশ্বসমাজের সম্মান প্রার্থী ছিলেন। - আমরা জাতিসংঘ ও বিশ্বসহযোগিতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। - আমাদের নির্বাচিত সরকারী কর্মকর্তাগণ যুদ্ধের দ্বারা ব্যক্তিগত ফায়দা লুঠবেন না। - আমাদের সরকার সর্বত্রই মানবাধিকার সংরক্ষণে সহায়তা করবেন। - আমাদের শাসনতন্ত্র জবাবদিহিত্ব নিশ্চিত করে। - রাষ্ট্র ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠাণগুলোর মধ্যে একটা সুস্পষ্ঠ পার্থক্য ছিল। - ধর্মীয় মতবাদকে বিজ্ঞানের স্থলাভিষিক্ত করা হবে না। - আমাদের সরকার পরিবেশ সংরক্ষণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। - আমাদের জাতিকে বহু প্রজন্মের জন্য এক অভাবনীয় ঋণের দায়ে আবদ্ধ করা হবেনা। - আমাদের সৈন্যদের যুদ্ধে পাঠানোর আগে যথাযথভাবে অস্ত্রসজ্জিত করা হবে। - আমদের নেতারা কখনই নির্যাতনের ব্যবহারকে ক্ষমা করবেন না। - আমাদের শাসনতন্ত্র আমদেরকে সরকারের অপব্যবহার থেকে রক্ষা করবে। - অপরাধী হিসেবে কেউ সন্দেহের পাত্র হলে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ায় তার সহজাত অধিকার থাকবে। - আমাদের গণমাধ্যমগুলোকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে বা হুমকি দিতে পারবে না। - আমাদের নেতারা তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি থাকবেন। - ভোটের মেশিনগুলোতে কাগজের পশ্চাদচিহ্ন (Paper Trail) থাকবে। - আমাদের সরকারকে কখনই আইন মান্যকারী নাগরিকের উপর আড়ি পাতার অনুমতি দেয়া হবে না। - আমাদের দেশ কখনই বিশ্বের সামরিক কর্তৃত্বের জন্য সচেষ্ট হবে না। সর্বোপরী আমাদের দৃঢ বিশ্বাস ছিল যে : - আমরা কস্মিনকালেও কখনই আমেরিকান হিসেবে লজ্জিত বোধ করব না। কি ভুলই না আমরা ভেবেছিলাম ! পরিণতি এককালে আমাদের যে দেশকে আমরা জানতাম আজ তাকে আর চেনা যায়না। আমাদের পরিচয় আজ অস্তিত্বহীন, হারিয়ে গেছে এক অন্তহীন যুদ্ধের কুয়াশায় আর দুর্বল শাসনতন্ত্রে। চাপা পড়ে গেছে কর্পোরেশনের তৃপ্তিহীন লোভে, আর সাম্রাজ্যের এক অলীক স্বপ্নে। আর ও ঘোলা করেছে সাধুতার দাবীদার ডানপন্থী ধর্মান্ধদের চেচামেচি, যারা প্রথমথেকেই গণতন্ত্রর প্রকৃত অর্থ কখনই বোঝেনি। যা ক্ষতি হয়েছে তা আর পূরণ হবে না। ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে পরিচয় হরণের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করা যায়, তা সে যতই অশান্তি কর হোক না কেন আর পূরণ করতে বেশ কয়েক বছর ই লাগুক না কেন। কিন্তু পরিশেষে সব গোলমালেরই অবসান ঘটার আশা আছে। কিন্তু যখন পরিচয় হরণের শিকার একটা গোটা জাতি তখন এট আশা করা যায় না। পরিস্থিতি যাই হোক, পরিচয় চুরির সবচেয়ে বড় ক্ষতি ঘটে সেই সময়টাতে যখন শিকার জানে না যে এই অপরাধের শিকার হয়েছে। এবং তাই ঘটেছে আমেরিকার বেলায়। গত পাঁচ বছর ধরে দেশের অধিকাংশই নিজেদের এই শিকার হবার ঘটনার কথা জানে না। ভয়ভীতির দ্বারা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে, অপপ্রচার আর অসত্যের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে লক্ষ লক্ষ আমেরিকানরা স্বেচ্ছায় তাদের নিজেদের এই সর্বনাশে শরীক হয়েছেন। আর এই লেখার মুহূর্তেও বহুসংখ্যক আমেরিকানরা এই অপরাধ সম্পর্কে অবহিত নন। এই মুহূর্তেও অপরাধীরা মুক্তভাবে বিচরণ করছে। প্রতি দিন তারা আরও ক্ষমতা কুক্ষিগত করছে যতক্ষণ তাদেরকে তা করতে দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি সুযোগেই তারা শাসনতন্ত্রকে কুরে কুরে খাচ্ছে। আর এককালের এই মহান দেশটিকে তাদের নিজেদের অশুভ অভিলাষের নিমিত্তে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। আরও তিন বছর যদি এভাবে তাদেরকে চলতে দেয়া হয় তাহলে দেশটি চিরকালের জন্য অভিশপ্ত হয়ে যাবে। জর্জ বুশ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এককালের আমেরিকার যে টুকুও অবশিষ্ট আছে সে টুকুও মুছে ফেলার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। বস্তুতপক্ষে পরিচয় চুরি তার শিকারকে কিংকর্তব্যবিমুঢ় ও দিশেহারা করে দেয়। তখন তাদের একমাত্র আশা হল সংকটের মুখোমুখি হয়ে যা তাদের নায্য তা ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রামে লিপ্ত হওয়া। ঠিক সেই পরিস্থিতিতেই পতিত হয়েছে এই দেশ। আমাদের মধ্যে যারা জানি যে আমরা প্রতারিত হয়েছি তারা এই তমসা ভেদ করে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় দ্বিধা ও দ্বন্দে ভুগছি। আমরা বুঝতে পারছিনা কোনদিকে যাব আর কিই বা করব। এটা এখন স্পষ্ট যে আমাদের একমাত্র আশা হল এই সংকটকে মুখোমুখি মোকাবিলা করা আর আমরা যে বড় রকম ভাবে প্রতারিত হয়েছি সেটা স্বীকার করে নেয়া। আমাদেরকে আমেরিকান হিসেবে আমাদের পরিচয় হারানোর তিক্ত বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে। এবং এরপর আমাদের দেশকে, যা ন্যায়সঙ্গতভাবে আমাদেরই, তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রাণপণে লড়ে যাওয়ার জন্য মনস্থির করাই আমাদের জন্য উত্তম। সব লড়াইয়ের বড় লড়াই লড়তে হবে ভোটের বাক্সে, এক বছরেরও কম সময়ে। আমাদের জন্য বিজয় লাভের কোন বিকল্প নেই। এর অন্যথা হলে তা অকল্পনীয়ভাবে বেদনাদায়ক হবে।